বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে

 

আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতা করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য হলে জবাব দেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা তার সমুচিত জবাব দিয়ে দেবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখাত হয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’তে পরিণত হয়েছে। দেশে ঠাঁই না পেয়ে বিদেশিদের কাছে বারবার ধরনা দিচ্ছে, তাদের কাছে নালিশ জানাতে।

বিএনপির কাছে আদালত নিরাপদ নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আদালত মানে না, আইনের শাসন-বিচার মানে না। আদালতে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে, আদালত প্রাঙণে ভাঙচুর করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে, ইটপাটকেল ছুড়েছে। এই অবস্থায় বিএনপি যদি কখনো ক্ষমতায় আসে তাহলে পরিণতি কী হবে সেটা সহজেই বুঝতে পারা যায়। তাদের কাছে আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থা, আদালত নিরাপদ না।

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, এত উন্নয়ন হয়েছে, এত অর্জন এগুলো বিএনপি ও তার দোসরদের চোখে পড়ে না।

নেতাকর্মীদের সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, চক্রান্ত এখনো চলমান আছে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনাদের সর্তক থাকতে হবে।

মৎস্যজীবী লীগের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সংগঠনে কিছু বিশৃঙ্খলা আছে, আমাদের এতগুলো সংগঠনের সম্মেলন হলো, সুশৃঙ্খলভাবে তারা সম্মেলন করেছে, কিন্তু এখানে দেখছি কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি। এটা হলে সংগঠন টিকবে না। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে নেতৃত্বের দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি, এটা হবে না। অফিসে অফিসে গিয়ে চাঁদাবাজি করবেন, এ রকম নেতা আমরা চাই না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদেরকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হবে বা কারো বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং তা প্রমাণ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাদ দেওয়া হবে।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়া চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

পরে মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনে নবনির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি হিসাবে মো. সাইফুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি হিসাবে সাইদুল আলম মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে শেখ আজগর লস্কর নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্মেলনে মৎস্যজীবী লীগ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার, আব্দুল গফুর, মোহাম্মদ আলম, বাবুল মিয়া, মীর আসাদুজ্জামান, শাহে আলম মিয়া ও নাসরিন সুলতানা। আর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলিম, টিপু সুলতান ও রফিকুল ইসলাম রফিক।

এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।