‘আণবিক জ্বালানির প্রশ্নে কোনো বাধা মানবে না ইরান ‘

 

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা সই করার আগে তেহরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতো এখন তার চেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫৯তম বার্ষিক বৈঠকে বক্তৃতা দেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট রুহানি এ কথা জানান। ড. হাসান রুহানি বলেন, ‘আমরা পরমাণু সমঝোতা সই করার আগের চেয়েও এখন বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছি এবং আমরা অলস বসে ছিলাম না। চুক্তির অপরপক্ষগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে তাহলে আমরাও একই রকমের ব্যবস্থা নেব।’

প্রেসিডেন্ট রুহানি আরও বলেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশকে এই পরমাণু সমঝোতা হতে বের করে নিয়েছেন তখন ইরান ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছে, ট্রাম্পের মতো ভুল করে নি। এর পরিবর্তে বরং ইরান পরমাণু সমঝোতার প্রতি অনুগত দেশগুলোকে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের এই অবস্থান সঠিক ছিল এবং ইরানের ভূমিকার কারণে আমেরিকার মিত্র দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করেছে। রুহানি বলেন, পরমাণু সমঝোতার মাধ্যমে তেহরান প্রমাণ করেছে, বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন ছিল।

এ সময় পরমাণু সমঝোতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, ট্রাম্পের আনপ্রেডিক্টেবল আচরণ শুধুমাত্র ইরানের জন্য নয় বরং সারা বিশ্বের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে। সম্প্রতি ইরানের পরমাণু সমঝোতা ইস্যুকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ব্যাপারে ইউরোপের দেশগুলোর ওপর ট্রাম্প যে চাপ সৃষ্টি করেছেন তারও নিন্দা ও সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানামুখী চাপ সত্ত্বেও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে তার দেশ এখন বেশি শক্তিশালী এবং আমেরিকার ষড়যন্ত্র ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উন্নয়নের সে পথ ধরে রাখবে ইরান। সম্প্রতি ইরানের সামরিক বাহিনী দু’টি মার্কিন ঘাঁটিতে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তার প্রশংসা করেন হাসান রুহানি।