আজও কাঁদলেন আবুল হায়াত

 

চোখ ছল ছল হৃদয়ে শহীদ মিনারের এক বৃক্ষের নীচে বসে প্রিয় বন্ধুকে শেষ দেখার অপেক্ষা করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে  আনা হয় প্রিয় বন্ধুর মরদেহ। তখন চোখ মুছে ফুল হাতে বন্ধুর মরদেহের দিকে ছুটে যান বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াত।

প্রিয় বন্ধু ড. ইনামুল হককে শেষ বিদায় জানাতে এসে আজও কান্নায় ভেঙে পড়লেন এই অভিনেতা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের এই আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

মঙ্গলবার সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য  ড. ইনামুল হকের মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসার আগেই এখানে হাজির হোন আবুল হায়াত। ৫৫ বছরের প্রিয় বন্ধুকে চোখের সামনে এভাবে নিথর হয়ে পড়ে থাকতে দেখে সহজ হতে পারছিলেন না। চোখের পানি আটকে রাখতে পারলেন না তিনি। কোনোরকমে হাতের ফুলগুলো বন্ধুর মাথার কাছে সপে দিলেন। এ সময় অঝোরে কাঁদতে লাগলেন তিনি। তার কান্না দেখে মেয়ে নাতাশা হায়াত বাবার পাশে ছুটে এলেন। সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করলেন বাবাকে। কিন্তু কাঁদতেই লাগলেন আবুল হায়াত…

মরদেহ ছেড়ে স্টেজের পেছনে সামান্য দূরে এসে  বসে পড়েন আবুল হায়াত। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বন্ধুর সম্পর্কে। কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, ‘ আমি আর নিতে পারছিনা। এখন আর কিছুই বলার নেই আমার। বলার মতো অবস্থায়ও নেই।’

আজ বেলা ১১টার দিকে দেশের অন্যতম নাট্যজন ও শিক্ষক ড. এনামুল হকের মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনা হয়। সেখানেই সর্বস্তরের জনগণ তাকে শ্রদ্ধা জানান।

উপস্থিত হন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডাক্তার জাফরুল্লাহ, অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি, তানজিকা, নাতাশা হায়াত, মোমেনা চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মীর সাব্বির, নির্মাতা অরণ্য আনোয়ারসহ অনেকে।

উপস্থিত ছিলেন ইনামুল হকের দুই জামাতা অভিনেতা লিটু আনাম ও সাজু খাদেম এবং দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হক।