তামশিরুল হক ইরফান –
অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মনপুরা খ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বহুল-আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’। আগামীকাল দেশের ২৪ টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। নাটকের পাশাপাশি সিনেমা ও ওয়েবসিরিজেও দেখা যায় তাকে। অভিনয়ের গুণে বরাবরই প্রশংসিত হন এই অভিনেতা।
মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম ছবি ‘হাওয়া’ মুক্তির আগেই বেশ ভালো প্রভাব ফেলেছে। ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে (২৯ জুলাই) ছবিটি মুক্তি পেতে যাওয়ায় এখনও প্রেক্ষাগৃহগুলো সরগরম। বিশেষ করে, দেশের অভিজাত চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সের মতো আধুনিক প্রেক্ষাগৃহগুলো লুফে নিয়েছে ‘হাওয়া’।
এর আগে সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পায়। ট্রেলারে দেখা যায়, কয়েকজন মাঝি একজন রহস্যময় নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়া আট মাঝি ও জেলে নৌকায় হাজির হওয়া রহস্যময় এক বেদেনী নারীকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে যেতে থাকে সিনেমার গল্প।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক কিছুই করতে হয়। চরিত্রের মধ্যে ছিল চাঁন মাঝি পান খায়। আমি তো ব্যক্তিজীবনে পান খাই না। এমন পান খাওয়া লাগবে, দাঁতগুলো যেন কালো থাকে। তিনি বলেন, কালো দাঁতের জন্য প্রথমদিকে মেকআপ করতে হতো আমাকে। মেকআপ করলে যেটা হয়- গ্লুসহ অনেক কিছু ধীরে ধীরে পেটে প্রবেশ করে। এমন পরিস্থিতিতে চিন্তা করি, পান খাওয়ার পরে যদি প্রকৃতভাবে দাঁত কালচে হয় তাহলে আমার জন্য সুবিধা হবে।
তবে এই পান খাওয়াতে বিপত্তি বাধে এই অভিনেতার। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি করে পান খেতে হতো তাকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, পান খেতে খেতে গাল ছিলে একদম বিশ্রি অবস্থা। তারপরও প্রায় ৪০-৪৫ দিন। একপর্যায়ে এমন অবস্থা হলো, শুটিং না হলেও বসে বসে আমি পান খাই। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমরা যখন ডাবিং করতে বসি। তখন আমার গলা বসে যায়। কিন্তু সেখানে তো পান খেতে খেতে ডায়লগ। তখন সামনে পানের বক্স থাকতো। পান খেতাম আর ডাবিং করতাম।