গ্রাহকদের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে.....
স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী

জিনান মাহমুদ :

গ্রাহকদের আস্থা, বিশ্বাস আর ভালোবাসায় এগিয়ে চলছে দেশের অন্যতম জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।

মানুষের জীবন নিরাপত্তায় ছায়া হয়ে কাজ করা চতুর্থ প্রজন্মের এই  বীমা প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালের ২৯শে জুলাই থেকে ব্যবসা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২২.৫০ কোটি টাকা।

২০১৯ সালের শুরুতে চার্টাড লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর প্রতি মাসে প্রিমিয়াম আয় ছিলো ১ কোটি টাকা। ব্যবসায়িক সফলতার ধারাবাহিকতায় এখন প্রতি মাসে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রিমিয়াম অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। অদম্য অগ্রযাত্রার পথিক প্রতিষ্ঠানটির গত ২ বছরে প্রিমিয়ামের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭০ শতাংশ। গৌরব উজ্জল এই প্রতিষ্ঠানটি পুজিঁবাজার থেকে  ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে এ বছর ৬০ কোটি টাকা লাইফ ফান্ডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানটি কর্পোরেট সুশাসন চর্চা ও মানুষের জীবন নিরাপত্তা সেবা দিয়ে আসছে। দেশের অন্যতম সেরা এই জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরী অথরিটি (আইডিআরএ) দ্বারা লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি জীবন বীমা কোম্পানী। এ কোম্পানী জীবন বীমা ও গ্রুপ বীমা পলিসি বিক্রি করে। এ কোম্পানী বিভিন্ন ধরনের বীমা পন্য বিক্রি করে যা কোম্পানীর বর্তমান ও সম্ভাব্য পলিসি হোল্ডারদের প্রয়োজনীয়তা পূরন করে আসছে। বর্তমানে কোম্পানীটি সারাদেশে ৩০ টি সেলস অফিস, ২৫ টি ব্রাঞ্চ অফিস, এবং ১৭ টি ইউনিট অফিসের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

দক্ষ ও বিচক্ষণ পরিচালনা পর্ষদ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা এবং গ্রাহকদের ভালোবাসায় স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলছ চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এই কোম্পানীর চেয়াম্যান হিসেবে আছেন উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ, এমপি এবং ভাইস চেয়াম্যান হিসেবে আছেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জনাব শাইখ সিরাজসহ প্রতিষ্ঠানের সিইও এস এম জিয়াউল হক এর সুদক্ষ নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে চার্টাড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

এছাড়া কোম্পানীটির উচ্চ প্রোফাইলের ব্যবসায়ী হিসাবে সুপরিচিত ব্যক্তি রয়েছে। যারা কোম্পানীকে স্পন্সর করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে ইউনিক গ্রুপ, এনার্জিপ্যাক, জিপিএইচ পাওয়ার জেনারেশন লিঃ, ক্রাউন সিমেন্ট, রিদিশা গ্রুপ, কোহিনুর ক্যামিক্যাল বিডি, গোল্ডেন অয়েল মিলস লিঃ এবং প্রান্তিক গ্রুপ। মোঃ আফসার উদ্দিন আহমেদ, FCA, AIA হলেন কোম্পানীর অ্যাকচুয়ারী এবং ট্রাস্ট-রি কোম্পানীর পুনর্বীমা কোম্পানী।

কোম্পানীর বেশিরভাগ পরিচালক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যাদের দেশের প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান সমূহে মালিকানা রয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞতার সাথে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব বহন করে। প্রতিভা, তারুন্য এবং অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে কোম্পানীর কার্যকর এবং দক্ষ কর্মী বাহিনী রয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১৪২ জন স্থায়ী কর্মকর্তা এবং ৩০০০ এরও বেশি উন্নয়ন কর্মী রয়েছে। এ কর্মীরা প্রশিক্ষিত এবং বীমা কার্যক্রমের বিভিন্ন পর্যায়ে অভিজ্ঞ এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে নিবেদিত। কোম্পানিটি তার কর্মীদের ভালো কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করে এবং ফলস্বরুপ কর্মীরা সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

সিনিয়র কর্মকর্তাদের বেশিরভগেরই উচ্চতর যোগ্যতা এবং পেশাধারী ডিগ্রি রয়েছে। দেশে-বিদেশে তাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। কোম্পানীর আর্থিক সক্ষমতা খুবই শক্তিশালী ও ইতিবাচক। ৩০ জুন ২০২২ সালে কোম্পানীর মোট সম্পদ ছিল ৬৬.৩৫ কোটি টাকা এবং লাইফ ফান্ড ছিল ৩৯.৭১ কোটি টাকা। কোম্পানিটি তার তহবিল তফসিল ব্যাংক, সরকারী ট্রেজারী এবং ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করছে, যেখান থেকে ভাল আয় হয় এবং ফলস্বরুপ শেয়ারহোল্ডারদের পাশাপাশি পলিসি হোল্ডারদের লভ্যাংশ এবং বোনাস দেয়ার জন্য আকর্ষনীয় রিটার্ন পাওয়া যায়। কোম্পানীটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংস্কৃতি, ব্যবসায়িক সুশানস, আচরনবিধি, নৈতিকনীতি এবং ব্যবসায়িক সামাজিক দায়িত্ব বজায় রাখে।

চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিকে অনুসরণ করে গ্রাহক সেবায় এগিয়ে যাওয়া এই বীমা কোম্পানীটি কমপ্লায়েন্স, ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং ক্লেইম সেবার দিক দিয়ে আইডিআরএ’র সূচকে সেরা পাঁচে অবস্থান করছে।

যথাসময়ে বীমা দাবী পরিশোধ করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যকলাপ পরিচালনা ছাড়াও, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি এর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বীমাখাতে অসামান্য অবদানের জন্য চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ২০২০ সালে মোস্ট ইনোভেটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স এ্যাওয়ার্ড, ফাস্টেড গ্রোয়িং কো,ম্পানী হিসেবে ২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স এ্যাওয়ার্ড এবং ২০২২ সালে ইন্সুরেন্স  দ্যা বেস্ট ডমেস্টিক লাইফ ইন্সুরার অব দ্যা ইয়ার-বাংলাদেশ হিসেবে ইন্সুরেন্স এশিয়া এ্যাওয়ার্ড লাভ করে চতুর্থ প্রজন্মের জীবন বীমা কোম্পানী চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে  এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস. এম. জিয়াউল হক বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি সুশাসন, উন্নয়ন নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে ব্যবসায়ীক সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বীমা প্রতিষ্ঠানে জনগনের নিরাপত্তার বীমা দাবী পরিশোধ করা।  সে অবস্থান থেকে চার্টার্ড লাইফে কোন গ্রাহকের ‘ক্লেইম পেন্ডিং’ নেই।

উচ্ছ্বসিত কন্ঠে তিনি বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের দ্বিতীয় কোম্পানি হিসেবে চার্টার্ড লাইফ দ্রুত পুজিঁবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। চার্টার্ড লাইফের জন্য এটা বড় একটা সাফল্য।

সিইও এস. এম. জিয়াউল হক আরো বললেন- স্বপ্ন সুন্দরের আলোর হাতছানির গল্প কথা। জানান, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স বাড়ছে গ্রাহকের আস্থা এবং বিশ্বাস। একইসাথে পুঁজিবাজারেও ভালো অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাড়িয়েছে। বীমা দাবী পরিশোধ এবং গ্রাহক বান্ধব এই জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান সেবার মধ্যদিয়ে দেশের নাম্বার ওয়ান প্রতিষ্ঠানে রুপ নিতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।