শুল্ক প্রত্যাহারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আবেদন

চিনি ও ভোজ্য তেলের বাজারমূল্য কমিয়ে আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আবেদন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত সরবরাহ আমদানি ও মূল্য পরিস্থিতির স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভা শেষে ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘চিনির ওপর অ্যাডভান্সড ট্যাক্স আছে, ভোজ্য তেলেও আছে। আমরা এ ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য এনবিআরে চিঠি দিয়েছি। আগামী চার মাস পেঁয়াজের ওপর ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা হলেও তেল, চিনির জন্য করা হয়নি। এনবিআর বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিবে। গত বছর চার মাসের জন্য শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আমরা আশা করছি, এ বছর তিন মাসের জন্য শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।’

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১২৯ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৭২৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

সম্প্রতি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কোথাও খুচরা বিক্রেতারা সরকারি নির্ধারিত দামে সয়াবিন তেল ও চিনি বিক্রি করছেন না। খোলা সোয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০ থেকে ১৪৫, বোতলজাত প্রতি লিটার ১৪৮ থেকে ১৫০, খোলা চিনি ৮০ এবং প্যাকেটজাত চিনি ৮৫ থেকে ৮৭ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। খুচরায় চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৮ টাকা থেকে ৮০ টাকায়। আর প্যাকেটের সাদা চিনি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাল চিনি বা আখের চিনি প্রতি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া এনবিআর, টিসিবি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পেঁয়াজের পাশাপাশি এই সভায় ভোজ্য তেল, চিনি, ও মসুর ডালের মূল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভার শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান এই চারটি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।