ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে এমপি বাবলার বাধা

 

রাজধানীর শ্যামপুরে পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। বুড়িগঙ্গা দখল করে গড়ে ওঠা নদী রক্ষায় নিয়ম না মানা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয় এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও তার অনুসারীরা। বাবলার আপত্তিতে নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টায়ও শুরু হয়নি অভিযান। পরে বাধার মুখে সীমিত পরিসরে অভিযান পরিচালনা করেই ক্ষান্ত হতে হয় পরিবেশ অধিদপ্তরকে।

রাজধানীর শ্যামপুর শিল্প এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের দল অভিযান পরিচালনা করতে গেলে এভাবেই বাধা দেন শিল্প কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় অভিযান শুরুর কথা থাকলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা’র অপেক্ষায় আটকে থাকে অভিযান। দুপুর ১২টায় এসে মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ নেন তিনি। চাপ দেন অভিযান স্থগিত করার। জড়িয়ে পরেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায়।

এরপর সংসদ সদস্য ও মালিক-শ্রমিকদের চাপের মধ্যে হাইকোর্টের আদেশ রক্ষায় পরিচালিত হয় সীমিত পরিসরে অভিযান। ছাড়পত্রহীন ও নিয়ম না মেনে চলা কারখানাগুলোর গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের কথা থাকলেও শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেই অভিযান শেষ করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসী বলেন, ইটিপি না থাকলে পানি সরাসরি রাস্তায় এবং বুড়িগঙ্গায় চলে যাচ্ছে। আমাদের কোর্ট থেকে বলা হয়েছিল কারখানাগুলো বন্ধ করতে, আমরা সেভাবে বন্ধ করছি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের দলকে অভিযান পরিচালনায় বাঁধা দিলেও, হাইকোর্টের আদেশকে সম্মান করেন বলে মন্তব্য করেন বাবলা।

সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এখানে আইনের কিছু কথা তারা বলেছে। সেগুলো আলোচনা করেছি। আদালতের কিছু আদেশ আছে, সেগুলো অবশ্যই পালন করা হবে।

বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে এর আশেপাশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশের পাশাপাশি নিয়ম না মানা শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধে আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান চলছে কোন ধরনের নিয়ম না মেনেই।