পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে মিসর থেকে আরো বেশি কাঁচা তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াবে। সম্ভাবনা তৈরি করবে বিনিয়োগে সম্পৃক্ত হওয়া এবং পারস্পরিক সুবিধা অর্জনেরও।
সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত হাইথাম ঘোবাশির সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আলাপকালে এসব কথা জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। গুলশানের বিজিএমইএ পিআর অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মিসর থেকে কীভাবে আরো কাঁচা তুলা আমদানি করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
তথ্য বলছে, পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইল শিল্পে তুলার চাহিদা মেটাতে লম্বা সময় ধরেই দেশের প্রধান আমদানি উৎস ভারত। তবে গুণগত মানের কারণে দেশটি থেকে তুলা আমদানিতে অনীহা রয়েছে শিল্পসংশ্লিষ্টদের মাঝে। আর এক্ষেত্রে তুলার গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠছে আফ্রিকা। এমনকি কভিডকালে তুলার আমদানির উৎস হিসেবে ভারতকে প্রতিস্থাপন করেছে আফ্রিকা।
এ অঞ্চলের বেনিন, বারকিনা ফাসো, মালি, আইভরি কোস্ট কিংবা ক্যামেরুনের মতো মিসর থেকেও তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ। মিসরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে অঞ্চলটি থেকে আমদানি আরো বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্পৃক্ত হওয়া এবং পারস্পরিক সুবিধা অর্জনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে পছন্দ করার বিষয়ে বাংলাদেশের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো, শক্তি ও সক্ষমতার কথাও তুলে ধরেন। বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার গৃহীত মেগা প্রকল্পগুলো, যেগুলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
মিসরীয় ব্যবসায়ীরা যেন বাংলাদেশে উচ্চমূল্য সংযোজিত ও নন-কটন টেক্সটাইলসহ সম্ভাব্য খাতগুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হন, সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান ফারুক হাসান।
মিসরীয় রাষ্ট্রদূত মিসরের টেক্সটাইল খাতে যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিজিএমইএকে অনুরোধ জানান। তিনি উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ইমরুল আনোয়ার লিটন এবং ঢাকাস্থ মিসর দূতাবাসের কর্মকর্তা প্রীতি আলী উপস্থিত ছিলেন।
তারা বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশ কীভাবে অর্থপূর্ণভাবে সহযোগিতা দিতে পারে, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।