বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদে চাঙ্গা এশিয়ার শেয়ার

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান আশাবাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়িয়েছে। যার সুবাদে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোকে ১৪ সপ্তাহের সর্বোচ্চে পৌঁছতে দেখা যায়। খবর রয়টার্স।

গতকাল জাপান বাদে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিস্তৃত এমএসসিআই সূচক ১ শতাংশ বেড়ে ২৫ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চে পৌঁছে। এছাড়া হংকংয়ের হাং সেং সূচক ১ দশমিক ৪ শতাংশ ও সিউলের কসপি সূচক ১ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়তে দেখা যায়। মূল ভূখণ্ড চীনে ব্লু চিপ সূচক দশমিক ৮ শতাংশ ও অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারগুলো দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে জাপানের বাজার বন্ধ ছিল।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় পক্ষই বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে অগ্রগতির কথা জানায়। ১৬ মাস ধরে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে আলোচনা করছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি দুটি। এছাড়া চলতি মাসেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন।

তবে গতকাল সকালের এক নোটে ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বিশ্লেষকরা সতর্ক করে জানান, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহতভাবে প্রথম পর্যায়ের একটি চুক্তির আভাস দিলেও, যুক্তরাষ্ট্র ডিসেম্বরের পরিকল্পিত শুল্ক বাতিল করবে কিনা এবং চীনের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহার করবে কিনা, সে সম্পর্কে জানা যায়নি। এ সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে খুব সহজেই চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে।

এর আগে শুক্রবার হোয়াইট হাউজের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডল ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুল্ক বাস্তবায়ন হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ দফায় ল্যাপটপ, খেলনা ও ইলেকট্রনিকের মতো চীনা আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করার কথা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক বহাল বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবেন।