চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সদ্য পুঁজিবাজারে আসা বিমা খাতের কোম্পানি ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে এক কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল এক কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ তিন মাসে মুনাফা বেড়েছে ১৮ লাখ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৫২ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়াবে ৩৫ পয়সা।
তবে প্রথম তিন প্রান্তিক (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২২) বা ৯ মাসে কোম্পানিটির (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা পাঁচ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৬ পয়সা। আর তিন প্রান্তিকে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে তিন কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল দুই কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার বিবেচনায় নিলে তিন প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়াবে ৬৩ পয়সা।
এছাড়া ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে আইপিও-পূর্ব পরিশোধিত শেয়ারের ভিত্তিতে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬৯ পয়সা, আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত শেয়ারের ভিত্তিতে যা দাঁড়াবে ১৫ টাকা ৮১ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ছিল তিন কোটি তিন লাখ ৯১ হাজার ৬৬০, আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে যা দাঁড়াবে পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৫২ হাজার ৭৬৬। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রক্রিয়া শেষে গতকাল থেকে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের লেনদেন শুরু হয়েছে। যদিও গত বুধবার থেকে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা স্থগিত করা হয়। এর আগে আইপিও আবেদনকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত শেয়ার তাদের বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। এর আগে চলতি বছরের ২০ থেকে ২৪ নভেম্বও পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিও গ্রহণ করা হয়। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের দুই কোটি দুই লাখ ৬১ হাজার ১০৬টি শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে মোট ২০ কোটি ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে কোম্পানিটি। উত্তোলিত অর্থ ফিক্সড ডিপোজিট, সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি গ্রণপ্রস্তাবের খরচ খাতের ব্যয় করবে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স।