পেট ফেটে বের হওয়া শিশুর বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন হাইকোর্ট

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবা ও বোনকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুটির দেখাশোনা ও ভবিষ্যতে তার ক্ষতিপূরণের বিষয়ে রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১৭ জুলাই) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন।

এর আগে এক আইনজীবী স্বপ্রণোদিত আদেশ দেয়ার আবেদন জানালে হাইকোর্ট বলেন, রিট আকারে আসলে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

গত শনিবার (১৬ জুলাই) ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় স্বামী- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর গর্ভে থাকা নবজাতক অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোর্টভবন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না বেগম ও শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাড়ি থেকে ত্রিশাল এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী ও শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়। এ সময় ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রত্না বেগমের পেট ফেটে নবজাতক সন্তানটি বের হয়ে আসে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ট্রাকের চাপায় তার পেট ফেটে শিশু সন্তানটি বের হয়ে আসে। তবে শিশুটি এখনও জীবিত আছে। তাকে প্রথমে কমিউনিটি বেইজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আফসারী গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত অন্তঃসত্ত্বার প্রসব হওয়া কন্যাসন্তানটি জীবিত আছে। তবে তার একটি হাত ভেঙে গেছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এক্সরে করার পর নবজাতকের ডান হাতের দুটি অংশে ভাঙা দেখা গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো আঘাত নেই বলে মনে হচ্ছে।