নিম্নমুখী ধারায় ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি

জুনে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে। তবে গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়ায় চলতি তেলবর্ষের প্রথম আট মাসে আমদানি দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।

সলভেন্ট এক্সট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (এসইএ) এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, গত মাসে ভারত ৯ লাখ ৪১ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করেছে। মে মাসে আমদানির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৫ হাজার টন।

এদিকে ২০২১-২২ তেলবর্ষের প্রথম আট মাসে দেশটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করেছে। এর আগের বছরের একই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল ৮৪ লাখ ৫২ হাজার টন।

এসইএর দেয়া তথ্য বলছে, জুনে অপরিশোধিত পাম অয়েল ও আরবিডি পাম অলিনসহ পাম অয়েল আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার টনে। এর আগের মাসে এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার টন। অর্থাৎ আমদানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২০২১-২২ মৌসুমের প্রথম আট মাসে আমদানি হয়েছে ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল। গত বছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫১ লাখ ৪৯ হাজার টন। এক বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে ১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

অন্যদিকে মৌসুমের প্রথম আট মাসে আরবিডি পাম অলিন ও অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি হয়েছে যথাক্রমে ১১ লাখ ও ৩ লাখ ১৭ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল যথাক্রমে ২৯ হাজার ৩৭৬ ও ৫ লাখ ১ হাজার টন।

এসইএর নির্বাহী পরিচালক বিভি মেহতা বলেন, আরবিডি পাম অলিন আমদানি বাড়ার মূল কারণ অপরিশোধিত পাম অয়েলে ঊর্ধ্বমুখী রফতানি শুল্ক এবং আরবিডি পাম অয়েলে নিম্নমুখী শুল্ক। তথ্য বলছে, প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েলের রফতানি শুল্ক ৫৭৫ ডলার। আর প্রতি টন আরবিডি পাম অলিনে শুল্ক দিতে হয় ৪০৮ ডলার।

ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া ভারতের প্রধান পাম অয়েল সরবরাহকারী দেশ। ২০২১-২২ মৌসুমের প্রথম আট মাসে মালয়েশিয়া ভারতে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল সরবরাহ করে। আরবিডি পাম অলিন সরবরাহ করে ৩ লাখ ৪৪ হাজার টন। অন্যদিকে একই সময় ইন্দোনেশিয়া ৬ লাখ ৪৩ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল ও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টন আরবিডি পাম অলিন সরবরাহ করেছে।