নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে স্থিতিশীল ডালের বাজার

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের বাজার এক মাস ধরে স্থিতিশীল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার আগে ডালের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। এরপর বাজারে স্থিতি ফিরে আসে।

নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, বাজারে দেশী মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১১৭ টাকা কেজি দরে। দিল্লি সুপার ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২৫ টাকা দরে। এ দুই ধরনের ডাল গত এক থেকে দেড় মাস একই দরে বেচাকেনা হচ্ছে। সিটি বোল্ডার মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৯৭ টাকা কেজি দরে। ফাটি মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৯০ টাকা ৫০ পয়সা দরে। অ্যাংকর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৫৯ টাকা কেজি দরে। একই ডাল ঈদুল আজহার আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৬২ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে অ্যাংকর ডালের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৩ টাকা। মুগডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১০২ টাকা কেজি দরে। গত এক মাস আগেও মুগডাল বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে ঈদের পর মুগডালের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৪ টাকা। খেসারি ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৬২ টাকা কেজি দরে। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে ।

ব্যবসায়ী সুবল দাস জানান, রোজার আগেই ডালের দাম দফায় দফায় বাড়তে থাকে। পুরো রমজান মাসেই বেশি দামে ডাল বেচাকেনা হয়েছে। রোজার ঈদের পর বেশ কিছুদিন একই দামে বেচাকেনা হয়েছে। পরে বেচাকেনায় কিছুটা ভাটা পড়ে। এ কারণে কেজিপ্রতি তিন-চার টাকা কমে যায়। এরপর আর দাম কেমেনি।

ডাল ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা জানান, গত এক-দেড় মাস ডালের বাজার স্থিতিশীল। নতুন করে দাম বাড়েনি। তবে বাজারে বেচাকেনায় বেশ মন্দা যাচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুলতান উদ্দিন নান্নু বলেন, নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের ছোট মিলগুলো অনেক অগেই বন্ধ হয়ে গেছে। বড় করপোরেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ছোট মিল মালিকরা ডাল ভাঙছেন না, বড় মিলারদের কাছ থেকে ডাল এনে বেচাকেনা করছেন। নিতাইগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেজিপ্রতি ৮ আনা বা ১ টাকা লাভে বেচাকেনা করেন। মূলত মিল মালিকরা যে দাম বেঁধে দেন, নিতাইগঞ্জে পাইকাররা সে দামে ডাল কিনে মফস্বলের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।