কিছুতেই থামছে না পুঁজিবাজারের রক্তক্ষরণ। সোমবারের ধসের পর আজ আবারও বড় দরপতন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে নেমেছে, ৪ হাজার ২৬ পয়েন্টে। যা গেল ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। টানা দরপতনে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
ভয়াবহ পতনে দেশের পুঁজিবাজার। কার্যদিবসের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৭ পয়েন্ট কমে নেমেছে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে। এই পতনে সূচক ফিরে গেছে প্রায় ৫ বছর আগের অবস্থায়।
কার্যদিবসের ব্যবধানে ১৮ কোটি টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ে ৩২টির; কমে ২৯৩টির। অপরিবর্তিত ছিলো ৩০টির দাম।
সূচকের পতনে ডিএসইকে অনুসরণ করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৬৯ পয়েন্ট কমে নেমেছে ১২ হাজার ৩শ পয়েন্টে।
কার্যদিবসের ব্যবধানে ৪ কোটি টাকা কমে লেনদেন নামে ৯ কোটি টাকায়। লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ে ২৭টির; কমে ১৯৬টির। অপরিবর্তিত ছিলো ২১টির দাম।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এদিন ডিএসইতে মাত্র ৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৯৩টির। ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে, তার মধ্যে ১৪৫টিরই দাম কমেছে ৩ শতাংশের ওপরে। ৫ শতাংশের ওপরে দাম হারিয়েছে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬ শতাংশের ওপরে দাম কমেছে ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের। এমন দাম কমার পর অনেক বিনিয়োগকারী এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি।
শেয়ারবাজারে এমন ভয়াবহ দরপতনের কবলে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
এদিকে পুঁজিবাজারে সূচকের টানা পতনে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, পুঁজিবাজার উন্নয়নে নেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত।