মেজো ছেলের পাশে চীর নিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান হাজি মকবুল হোসেন।
হাজী মকবুলের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। ঈদের দিন সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পাশের কবরস্থানে ছেলে মাসুদুর রহমানের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ কয়েকশ মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
মকবুল আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদে সদস্য ছিলেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শমরিতা হাসপাতাল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা মকবুল মোহাম্মদপুরে নিজের নামে একটি কলেজসহ আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
এছাড়া তার মালিকানায় রয়েছে এ্যমিকো ল্যাবরেটরিজ, পান্না টেক্সটাইল, মোনা ফিন্যান্সসহ কয়েকটি কোম্পানি। তার ছেলে আহসানুল ইসলাম টিটু টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর আসনের সংসদ সদস্য হাজি মকবুল হোসেন।
জানাজার আগে আহসানুল ইসলাম টিটু তার বাবার সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন এবং কখনও তার কোনো ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকলে বাবার তরফ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন। টিটু জানান, তার মা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেত্রী মোনা হোসেনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
টিটু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আমার বাবার চিকিৎসা থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তদের কাছে আমি এবং আমাদের পরিবার ঋণী।”
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরিহিত একটি বিশেষ দল এই আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ সরাসরি ঈদগাহ মাঠে নিয়ে আসে। তাদের ব্যবস্থাপনাতেই দাফনের কাজটি হয়। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্য দূরত্ব রেখে মৃতদেহ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।
জানাজায় অংশ নিতে আসা মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও প্রচুর মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তারা জানাজা পড়েছেন। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় তারা লাশের কাছাকাছি যেতে না পারলেও দাফন হয়ে যাওয়ার পর গিয়ে কবরে মাটি দিয়েছেন।”
২০১৩ সালের ২৮ মে মকবুল হোসেনের মেজো ছেলে মাসুদুর রহমান হৃদরোগে মারা যান। তার কবরের পাশেই মকবুল হোসেনকে সমাহিত করা হয়। তার ছোট ছেলে মজিবুর রহমান পান্নাও একজন ব্যবসায়ী।