‘আমার স্বামীর একার নয়, এই মাইয়্যারও দোষ আছে’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে দোকানে আটকে রেখে অবৈধ মেলামেশা করায় দেড় মাসের গর্ভবতী হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় শনিবার মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ফরদাবাদ গ্রামের পোড়াবাড়ির মৃত মো. হাকিম মিয়ার ছেলে মো. ডলু মিয়াকে (৩৫) আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার জমা দেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামি ডলু মিয়া পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নানির বাড়িতে যাচ্ছিল। পথে ফরদাবাদ রবির বাজারে কবির মিয়ার দোকানের মধ্যে নিয়ে সাঁটার বন্ধ করে ডলু মিয়া গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যা করার ভয়ভীতি দেখালে সে কাউকে বলেনি।

কিন্তু গত কিছুদিন আছে মাদ্রাসার ছাত্রীটি পেটের ব্যথায় কান্নাকাটি করলে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জানতে পারে ৪১ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি মেয়ের বাবা গ্রামবাসীকে জানালে তার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডলু মিয়ার স্ত্রী ছেনু বেগম বলেন, আমার স্বামী ৭ লাখ টাকা নষ্ট করেছে এই মাইয়্যার (ধর্ষণের শিকার ছাত্রী) পিছনে ঘুরে ফিরে। আমার স্বামীর একা দোষ না, এই মাইয়্যারও দোষ আছে। মাইয়্যার পরিবারের অসচেতনতার কারণে এ ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এসআই আক্তার হোসেন বলেন, মেয়ের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি।