প্রায় ১২০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন ও শান্তিনগর শাখার মাধ্যমে এ টাকা পাচার হয়।
সোমবার রাজধানীর আইডিবি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিদারুল আলম টিটু ও তার সহযোগী কবির হোসেন।
কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের ডিজি শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে ১৫টি মানি লন্ডারিং মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দিদারুল আলম টিটু ও তার সহযোগী কবির হোসেনকে বিজয়নগরের আফতাব সেন্টার থেকে গ্রেফতার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এই দুজন আসামি ছাড়াও আব্দুল মোতালেবসহ অন্যান্য সহযোগী মিলে মেসার্স এগ্রো বিডি এন্ড জেপি, হেনান আনহুই এগ্রো এলসি এবং হ্রেব্রা ব্রাঙ্কো নামে তিনটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় পোল্ট্রি ফিড মেশিনারি আমদানির ঘোষণা দিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ, সিগারেট ও ফটোকপির মেশিন আমদানি করে। এর মধ্যমে বিপুল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মোট ১ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং করেছে চক্রটি।
‘৪৩২ কোটি টাকা মানি-লন্ডারিংয়ের দায়ে মেসার্স এগ্রো বিডি এন্ড জেপি’র বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মোট নয়টি মামলা দায়ের করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ৪৩৯ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে হেনান আনহুই এগ্রো এলসি নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মোট ছয়টি এবং ২৯১ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে হ্রেব্রা ব্রাঙ্কো নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শহিদুল ইসলাম জানান, আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন ও শান্তিনগর শাখার মাধ্যমে টাকাগুলো পাচার করা হয়েছে। তাদেরকে জবাবদিহি করলে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, কর ফাঁকি এবং টাকা পাচারের জন্য যত রকম কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সবগুলো ফটোশপের মাধ্যমে প্রস্তুত করেছিল প্রতারক চক্রটি। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে মোট ১২১টি কন্টেইনারে পোল্ট্রি ফিড মেশিনারি আমদানির ঘোষণা দিয়ে মদ, সিগারেট ও ফটোকপির মেশিন আমদানি করা হয়েছে।
চক্রের অন্য সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।